মিজানুর রহমান নয়ন,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল আরেফিন, কুমারখালীর এসিল্যান্ড, খোকসার স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৬৭ জনের সংক্রামণ শনাক্তের অধিকতর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় অধিকতর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে দুজনের নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করেছে। শনাক্ত হওয়া দুজনের বাড়ি মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকাতে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো ৬৭টি নমুনা অধিকতর পরীক্ষা শেষে এ ফল জানানো হল।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন,’রাত সাড়ে আটটায় ৬৭ জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দু’জনের নমুনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। তবে তারা কেউই কুষ্টিয়ার নয়। তাদের একজনের (৩৫) বাড়ি মেহেরপুর, অপরজনের (১৩) চুয়াডাঙ্গায়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে তৃতীয় দিনের পরীক্ষায় বৃহত্তর কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা) ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের করোনা পজেটিভ আসে। পজেটিভের তালিকায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফীন, কুমারখালী উপজেলার এসিল্যান্ডের নাম ছিল। বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে যান সংশিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে ওই রাতেই প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রত্যেকে বাড়িতে গিয়ে লকডাইন করে দেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১৮ জন, চুয়াডাঙ্গার ২৮জন ও মেহেরপুরের ২১জন। এ নিয়ে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের ল্যাব প্রধান ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমীন রহমান বলেন, ৬৭ যে পজিটিভ বলা হচ্ছে তার মধ্যে একটা ক্লিয়ারলি পজিটিভ ছিল, ৬৬টাতে একটু খটকা ছিল।
তিনি বলেন, সেগুলো নেগেটিভ না পজেটিভ কী না সেটা একই স্যাম্পুল দ্বিতীয়বার টেস্ট করে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। এটা এখানেও (কুষ্টিয়া) করা যেতো। যেহেতু এটা নতুন ল্যাব তাই অধিকতর নিশ্চিত হতে স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নমুনাগুলো পজেটিভের কাছাকাছি ছিল।
ল্যাব সূত্র জানায়, নমুনা সংগ্রহ বা ল্যাবে নমুনাগুলো প্রসেস করায় কোনো সমস্যা ছিল না। নতুন ল্যাব হিসেবে বুঝে উঠতে একটু সময় লাগছে। তবে এখন ঠিক হয়ে যাবে। একেবারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আর কোন রিপোর্ট দেওয়া হবে না।
এদিকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ৬৭ জনের আবাসস্থল তিন জেলার প্রশাসন থেকে লকডাউন করা হয়।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।