শরীযতপুর প্রতিনিধি : গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকায় এক নার্সের বাসার গৃহকর্মীর করোনা সনাক্ত হওয়ার পর গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আউট ডোর বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। এতে করে সাধারন মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ও আতংকিত হয়ে পড়েছে। তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান জানিয়েছে।
গত ৪ মে রাত ১০টা থেকে আউট ডোর বন্ধ করে লকডাউন ঘোষনা করে সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তবে জরুরী ও ইনডোর বিভাগ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ মোঃ হাফিজুর।
হাফিজ জানান, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকায় এক নার্সের বাসার গৃহকর্মীর করোনা সনাক্ত হওয়ার পর গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এর আউট ডোরসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালে কর্মরত ৯ জন ডাক্তার ১৩জন নার্স সহ মোট ৫৫ জনের নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয় পর্যন্ত আউট ডোরের সকল কার্ষক্রম বন্ধ বলবৎ থাকবে। জরুরী চিকিৎিসা সেবা নেওয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ১০টা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। আউট ডোর বন্ধ এবং সীমিত আকারে জরুরী বিভাগ ও ইনডোর খোলা রয়েছে। সকল ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের নমূনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স আউট ডোর ঘোষনা করা হয়েছে। জরুরী বিভাগ ও ইনডোর সীমিত খোলা থাকবে। স্টাফদের নমূনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ ভাবে চলবে।