জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন , ‘কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের এখনই আসার কোনো প্রয়োজন নেই। তাঁরা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসবেন। কেউ চাকরি হারাবেন না।’
কাজে যোগ দিতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ শনিবার (৩১ জুলাই) এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি গতকালই বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যাঁরা ঈদে বাড়ি যাননি এবং যাঁরা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাঁদেরকে নিয়েই তাঁরা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তাঁরা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবেন না। যাঁরা এই পাঁচ দিন কাজ করবেন না, যাঁরা বাইরে আছেন- তাঁদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তাঁরা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন।’
তিনি বলেন, ‘তাঁদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনও বলা হয়েছিল- যাঁরা শুধু ঢাকায় বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তাঁরাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ হয়তো মনে করছেন ৫ দিন মিস করব, চলে যাই। অনেকে হয়তো আতঙ্কিত হয়ে ফিরছেন, চাকরি থাকবে কি-না! আমরা সবাইকে বলছি- কারো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁরা দেখবেন, সরকারও বিষয়টি দেখবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ চাকরি হারাবেন না। তাঁরা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসবেন। এত কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসার কোনো প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘একটি জিনিস বন্ধ হলে খুলতেও তো সময় লাগে। এখন খুলে তারা টুকিটাকি কাজগুলো করবে। আস্তে আস্তে বড় অর্ডারগুলো করবে।’
ঈদুল আজহার আগে-পরে আট দিন শিথিল রাখার পর সরকার আবার ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছিল, কিন্তু এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আট দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। সরকারি ছুটির দিনেই এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধ শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট।