১৬, এপ্রিল, ২০২৪, মঙ্গলবার
     

আটক হওয়া নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া

বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করায় মধ্যরাতে মডেল অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। পরে প্রাঙ্গন মুচলেকা দিলে ছাড়া পান তারা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া বলেন, একটি পারিবারিক প্রোগ্রাম থেকে রাত ১১টার পর আমরা ফিরছিলাম। আমাদের গাড়ির গতি ছিল ৬০ কিলোমিটার। এ গতিকে পুলিশ বেপরোয়া গতি বলছে। তারা প্রাঙ্গনকে থানায় যেতে বলে, আর আমাকে বাসায় চলে যেতে বলে। আমি জেদ করেই প্রাঙ্গনের সঙ্গে থানায় যাই। এরপর প্রাঙ্গনকে আলাদা রুমে নিয়ে কথা বলে পুলিশ।

‘পরে মুচলেকা দিয়ে নাকি কীভাবে ছাড়া পেয়েছে আমি তা জানি না। রাত তিনটার দিকে আমরা দুজনে একসঙ্গে থানা থেকে বেরিয়ে আসি। তবে নিজে মদ্যপ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন স্পর্শিয়া।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমণ্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমণ্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি অটোরিকশায় ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দিলে গাড়িটি থামানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ। অর্ঘ গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া।

তাদের গাড়ি কেন থামানো হয়েছে- এমন প্রশ্ন করে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তারা। মদ্যপ অবস্থায় কিনা, প্রাঙ্গনের কাছে জানতে চায় পুলিশ। এ সময় প্রাঙ্গন বলেন, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। একপর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমণ্ডি থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গন মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও তিনি ছাড়া পান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লে­খ করেন প্রাঙ্গন। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লে­খ করেননি।

এসআই মাহবুব বলেন, গাড়ি কেন থামানো হয়েছে- এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গন খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সঙ্গে কথা বলেনি। যেহেতু প্রাঙ্গন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নেওয়া হয়।

ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের।

               

সর্বশেষ নিউজ