১৬, এপ্রিল, ২০২৪, মঙ্গলবার
     

আবার বাড়ছে মুরগির দাম

গত আগস্ট মাসে খোলা বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের প্রধান উপাদান পোলট্রি মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এ সময় সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২২০ টাকা কেজি দরে। এর পর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে মুরগির দাম। নভেম্বর মাসে ১১৫ টাকার পোলট্রি মুরগি ২০০ টাকায় কিনতে হয় ক্রেতাদের। একইভাবে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩২০ টাকা পর্যন্ত। এরপর কমতে থাকে মুরগির দাম।

নভেম্বরের শুরু থেকে কমতে থাকা পোলট্রি মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজি। অন্য দিকে সোনালি বিক্রি করতে দেখা যায় ২৬০ টাকায়। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার ঊর্ধ্বমুখী মুরগির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকার পোলট্রি মুরগি গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। এজন্য পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে আবার কমতে পারে। তখন আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করব।

এ দিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কমেছে পেঁয়াজ-রসুনসহ কয়েকটি সবজির দাম।এ ছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্য।
গতকাল শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি করা হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। টমেটোর পাশাপাশি বাজারে নতুন আসা আলুর দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া নতুন আলু এখন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পুরনো আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২৫ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৭০ টাকা। এ ছাড়াও কমেছে রসুনের দাম। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশী আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

বাজারে শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ও গোশতের দাম। গরুর গোশত ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছও। এ ছাড়া শিং ও টাকি মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের শোলমাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাস ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে।

               

সর্বশেষ নিউজ