১৮, এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার
     

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে চার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কমিশনের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংলাপে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নেরও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

সোমবার বিকালে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে এসব প্রস্তাব দেয়।

বঙ্গভবনে সংলাপ থেকে বেরিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এতে ইসি শক্তিশালীকরণ, ইসির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়েও কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রয়োজন বলেও মনে করে আওয়ামী লীগ।

ইসি আইন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগও ইসি আইন চায়। এরই মধ্যে ইসি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর পরের ধাপে পূর্ণাঙ্গ আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাবে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে আইনটি জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে। সংসদেই চূড়ান্ত হবে আইনটি।

পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই এই আইনটি পাস করা সম্ভব হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন পাস করার বিষয়ে বিকল্প কোনো পদ্ধতি নেই। যেকোনো আইন পাসের জন্য প্রক্রিয়া একটিই। এই আইনের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটার কোনো অবকাশ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ ফারুক খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

               

সর্বশেষ নিউজ