১৯, এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার
     

‘কেন আপনারা ভাবেন না কোটি কোটি মানুষের অভিশাপ নিচ্ছেন’

দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতার প্রয়োজনেই খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকারের জন্যই ভালো। কারণ আল্লাহ না করুন তার যদি কোনো ক্ষতি হয় দেশের মানুষ তাদের রেহাই দেবে না। তাই বিলম্ব না করে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। না হলে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার বিকালে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতিতে সরকারের প্রতিবন্ধকতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিতে চায় না। কেন? একবারও কি চিন্তা করেন না যে এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার মা-বোনেরা রোজা রাখছে, দোয়া করছে দেশনেত্রী যেন সুস্থ হয়ে যায়। কেন আপনারা ভাবেন না কোটি কোটি মানুষের অভিশাপ আপনারা নিচ্ছেন। সেই অভিশাপ আপনাদের নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত করবে।

ক্ষমতাসীনদের কিছু মানুষ ‘ভুঁইফোড় হয়ে মোটাতাজা হচ্ছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছেন। কথায় কথায় বলেন উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ। রাস্তায় পড়ে থাকে মানুষ না খেয়ে। কৃষকরা ধানের দাম পায় না, পণ্যের দাম পায় না, শ্রমিকরা মজুরি পায় না। নিম্নবিত্ত আরও নিম্নবিত্ত হচ্ছে, মধ্যবিত্ত আরও নিম্নবিত্ত হচ্ছে। দারিদ্র্যের সীমা আরও অনেক নিচে নেমে গেছে। অথচ জনগণের টাকা কেটে লুটপাট করে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করে। অর্থাৎ টাকা পাচার করে দিচ্ছেন। এ দেশকে আজ এমন এক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া দাবি যৌক্তিক। প্রয়োজন হলে সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও হাফ পাশের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়েছিল ভারতে, আর এখন পালানোর জন্য কানাডা, আমেরিকা মালয়েশিয়ায় বাড়ি বানিয়েছে। আগামীতে পালানোর সুযোগ নাও পেতে পারেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

               

সর্বশেষ নিউজ