১৯, মার্চ, ২০২৪, মঙ্গলবার
     

‘ফিনল্যান্ডে পারমাণবিক অস্ত্র বা ন্যাটো ঘাঁটি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না’

ফিনল্যান্ডে পারমাণবিক অস্ত্র বা ন্যাটো ঘাঁটি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রও মোতায়েন করতেও দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।

বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এ কথা জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইতালির একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে দেনদরবারের সঙ্গে জড়িত নয়।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মারিন এ সাক্ষাৎকার দেন।

সানা মারিন বলেন, ‘ফিনল্যান্ডে পারমাণবিক অস্ত্র বা ন্যাটো ঘাঁটি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। আমি মনে করি না যে— ফিনল্যান্ডে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন কিংবা ন্যাটোর ঘাঁটি স্থাপনের কোনো সুযোগ রয়েছে।’

এদিকে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনও প্রায় একই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার দেশ স্থায়ীভাবে কোনো ন্যাটো ঘাঁটি চায় না। এমনকি দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনেরও সুযোগ নেই।

তবে গত বুধবার ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি আরেক দেশ সুইডেনও আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছে। এই আবেদনের মাধ্যমে দেশ দুটি তাদের দীর্ঘ দিনের সামরিক নিরপেক্ষতা ত্যাগ করেছে।

এদিকে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সতর্ক করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিলে ‘বড় ভুল’ করবে ফিনল্যান্ড। এতে ফিনল্যান্ডের নিরপেক্ষ অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিবেশী এ দেশ ন্যাটোর বাইরে রয়েছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রেক্ষাপট পাল্টেছে। দেশটি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে।

এর পর থেকে পুতিন সরাসরি প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি না দিলেও রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ইতোমধ্যে ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। মস্কোর এমন সিদ্ধান্তকে প্রতিশোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

               

সর্বশেষ নিউজ