২৯, মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার
     

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুক্রবার থেকে শুরু

দেশে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলবে।

এর আগে এই ধাপে ১৪০টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও হঠাৎ বন্যার কারণে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

ইসি জানায়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে হালনাগাদে। এ ছাড়া আগে বিভিন্ন কারণে যারা ভোটার হতে পারেননি, তাদেরও এই হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটারের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে।

শুক্রবার সাভারে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২’ উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়া অন্য তিন কমিশনারও দেশের বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত থেকে হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

ইসি আরও জানায়, আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে নাগরিকদের তথ্যে ভুলভ্রান্তি এড়াতে এবার প্রথমবারের মতো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন কেন্দ্রে নাগরিকের তথ্য কম্পোজ ও প্রুফের পর তার একটি প্রিন্ট দেওয়া হবে। নাগরিক সেই তথ্য যাচাই ও সই দিয়ে ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটরের কাছে জমা দেবেন। নাগরিকের অন্যান্য দলিলাদির সঙ্গে এই ডকুমেন্টও ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে।

ইসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবার একসঙ্গে পর পর তিন বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন- তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তিন বছরে বর্তমান ভোটার সংখ্যার সাড়ে ৭ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার পূর্বে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৩। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার পূর্বে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৪ এবং যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ ২০২৫।

ভোটার হতে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে), বাবা-মায়ের এনআইডির ফটোকপি ও ইউটিলিটি বিলের কপি দিতে হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষ আরও কিছু দলিলাদিও লাগতে পারে।

               

সর্বশেষ নিউজ