২৫, এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার
     

রাখাইনে এবার বৌদ্ধদের জাতিগত ক্ষমতার লড়াই

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী অন্য রাজ্যে ব্যস্ত থাকায়, পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ নেতারা নিজেদেরকে রাজ্যে কার্যকর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছেন।

বিকল্প হিসেবে তারা জান্তার চেয়ে ভালো, এমনটা বলে অন্তত কিছু মুসলমানকে বোঝাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এ ঘটনা রাজ্যের মুসলমানরা উদ্বিগ্ন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

২০১৭ সালে সরকারি সেনারা যে হত্যাকাণ্ডের তাণ্ডব চালিয়েছে তারা তা দেখেছেন। হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে এবং ৭ লখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

স্থানীয় এক কর্মকর্তার হত্যাসহ সাম্প্রতিককালে জাতিগত যে ঘটনাগুলি ঘটছে তা ২০১২ সালের দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।

ওই সময় মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, বাড়িঘর এবং ধর্মীয় ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছিল এবং ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, মিয়ানমারের অন্য জায়গায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেলেও রাখাইন তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে৷

এই পরিস্থিতি রাখাইন বা আরাকান নামে পরিচিত প্রধান বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে ক্ষমতার জন্য লড়াইয়ের একটি সুযোগ করে দিয়েছে।

আরাকান আর্মি নামে পরিচিত একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া ২০০৯ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের নেতৃত্বে এই জাতিগোষ্ঠী রাখাইন জনগণের জন্য স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাচ্ছে।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে, আরাকান আর্মি রাখাইনে নিজেদের একটি বিকল্প সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।

জনসাধারণকে নানা অভিযোগ, চুরি, ডাকাতি এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের কাছে যেতে বলছে।

               

সর্বশেষ নিউজ