২৯, মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার
     

সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে যা বললেন এরদোগান

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে যাওয়া প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। খবর আনাদোলুর।

এর আগে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য অর্থ পরিশোধ করলেও রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে আর এসব সামরিক বিমান আর সরবরাহ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার পর গত বছর ৪০টি এফ-১৬ সামরিক বিমান কিনতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে তুরস্ক।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির উপপ্রধান ইফকান আলা শুক্রবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিকে তুরস্ককে এবার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ওয়াশিংটন সফরকালে এ ব্যাপারে সিনেটরসহ ২৪ জন মার্কিন এমপির সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে। তারা সবাই এ বিষয়ে পজিটিভি সাড়া দিয়েছেন।

ন্যাটোর সহযোগী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের উন্নয়ন হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের দায়িত্বশীল আচরণে বেশ খুশি যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কের বিমানবহর পুরোটাই আমেরিকার যুদ্ধবিমান দিয়ে সাজানো। এদের মধ্যে আছে— এফ-৪ ও এফ-১৬।

১৯৭৪ সালে এফ-৪ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে তুরস্ক এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই বিমানগুলো সরবরাহ করে আমেরিকা। এই লম্বা সময় ধরে কয়েকশ এফ-৪ যুদ্ধবিমান পায় তুরস্ক। এর বেশিরভাগই এখন সার্ভিসে নেই।

বাকিগুলো ২০২০ সালের দিকে সার্ভিস থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এগুলোকে বারবার মডার্নাইজেশন করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এদের জীবনকাল দীর্ঘায়িত করতে চায় তুরস্কের সেনাবাহিনী। এমনকি এগুলোকে আরেকটু ঘষেমেজে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে চায় দেশটি।

অন্যদিকে তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। তখন আমেরিকার সঙ্গে ১৬০টি বিমান কেনার চুক্তি হয়। এদের আটটি আমেরিকায় এবং ১৫২টি তুরস্কে উৎপাদনের কথা থাকে সেই চুক্তিতে।

তুরস্কের এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৮৭ সালে আমেরিকার সঙ্গে একত্রে এ বিমানগুলো উৎপাদন শুরু করে তুরস্কে।

শুরুর দিকের কাজগুলোকে বিমান তৈরি বলার চেয়ে বরং আমেরিকা থেকে সব যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে তুরস্কে সেট করা বলা যায়। পরে আমেরিকা থেকে লাইসেন্স নিয়ে তুরস্কেই উৎপাদন করতে থাকে এ বিমানগুলো।

দেশীয়ভাবে উৎপাদন করে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ২৩২টি ব্লক ৩০/৪০/৫০ মডেলের এফ-১৬ তৈরি করে তারা।

এভাবে তুরস্কের বিমানবহর সজ্জিত হয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে। তুরস্কের বিমানবাহিনীকে সর্বশেষ এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করা হয় ২০১২ সালে।

               

সর্বশেষ নিউজ