ইউক্রেন ভূখণ্ডের প্রায় ২০ ভাগ দখলে নিয়েছে রাশিয়া- বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলমান সংঘাতে সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, যদিও তার দেশ সকল সহায়তার জন্যই কৃতজ্ঞ, তবু মিত্রদের ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া বক্তব্যের এক দিন পরেই এই মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ওই বক্তব্যে বাইডেন জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৭০ কোটি ডলারের উন্নততর রকেট ব্যবস্থা ও গোলাবারুদ সরবরাহ করবে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে যে, ইউক্রেন ওই রকেটগুলো রুশ-ভূখণ্ডে আক্রমণ চালাতে ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেছে।
এদিকে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ চতুর্থ মাসে গড়িয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করতে এই নতুন প্যাকেজটি তাদেরকে নতুন সক্ষমতা ও উন্নততর অস্ত্রে সজ্জিত করবে, যার মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের গোলাবারুদসহ এইচআইএমএআরএস রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সমর্থন যোগাতে ঐতিহাসিক সহায়তা প্রদানে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া অব্যাহত রাখব। বাইডেন তার বক্তব্যে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমস-এর সংক্ষিপ্ত রূপটি ব্যবহার করেন।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, অস্ত্রের এই নতুন প্যাকেজটি সংঘাতের বর্তমান পর্যায়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। সংঘাতটি বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘটিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক মন্তব্যে বাইডেন লিখেছেন যে, তিনি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চান না।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি পুতিনের সাথে যতই দ্বিমত পোষণ করি না কেন, এবং তার কর্মকাণ্ডে যতই বিরক্ত হই না কেন, যুক্তরাষ্ট্র মস্কোতে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে না।’
তিনি আরো লিখেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের মিত্রদের আক্রমণ করা হবে না, ততক্ষণ আমরা সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ব না, সেটা ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য আমেরিকান সৈন্য পাঠিয়েই হোক বা রুশ বাহিনীকে আক্রমণ করেই হোক। আমরা ইউক্রেনকে তাদের সীমান্তের বাইরে হামলা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছি না বা সক্ষম করছি না।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা