২২, ডিসেম্বর, ২০২৪, রোববার
     

নিমতলী ট্র্যাজেডি: অশ্রুজলে স্বজনদের স্মরণ

দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে স্মরণ করেছেন তাদের স্বজনরা।

শুক্রবার সকালে নিমতলীতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে স্বজনরা সংক্ষিপ্ত দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন। মোনাজাতে অশ্রুসিক্ত নয়নে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন স্বজনরা।

মোনাজাতে অংশ নেওয়া শোয়ায়েব নামের একজন বলেন, আমাদের স্বজনদের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা কাঁদি। তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা ছাড়া আমরা আর কী করতে পারি। এজন্য শুক্রবার সকালে কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত হয়ে নিহতদের স্মরণে দোয়া কালাম পড়ে মোনাজাত করেছেন।

বংশাল থানার ওসি আবুল খায়ের যুগান্তরকে বলেন, নিমতলী অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দোয়া ও মোনাজাত করে চলে যান। আয়োজন করে কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নবাবকাটরার নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টায় রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সময় ছয়তলা বাড়িটির নিচতলায় দুই বোন রুনা আর রত্না ও পাশের বাড়িতে আসমা নামে এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। রান্নার জায়গার পাশেই ছিল রাসায়নিকের গুদাম।

প্রচণ্ড তাপে গুদামে থাকা রাসায়নিকের প্লাস্টিকের ড্রাম গলে যায়। ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু হয়। আর সামনের ৫৫ নম্বর বাড়ির ৬ জন ও বিয়ের বাড়ি লাগোয়া বাড়ির আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়। পরে তিন কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃস্নেহে গণভবনে বিয়ের আয়োজন করেন।

               

সর্বশেষ নিউজ