২২, ডিসেম্বর, ২০২৪, রোববার
     

মিয়ানমারে শত শত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তা

মিয়ানমারে উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের অভিযানে কয়েক শত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন জান্তা সৈন্যরা। স্থানীয় গণমাধ্যম ও বাসিন্দারা এ কথা জানিয়েছেন।

অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে গত বছর সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা হস্তগত করার পর থেকে সাগাইন অঞ্চলটি ভয়াবহ যুদ্ধ ও রক্তাক্ত প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে স্থানীয় বিদ্রোহী গ্রুপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যরা জান্তা বাহিনীর সাথে প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পিডিএফ মিলিশিয়াদের কার্যকর লড়াই জান্তা বাহিনীকে রীতিমতো বিস্মিত করেছে। এই মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে অসংখ্যবার বিমান হামলাও করেছে জান্তা সৈন্যরা।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং গণমাধ্যম বলছে, গত সপ্তাহে তিন দিন ধরে কিন, আপার কিন এবং কে তাউং গ্রামে শত শত ভবনে আগুন দিয়েছে জান্তা সৈন্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেছেন, গত ২৬ মে সৈন্যরা গ্রামে দিকে এগিয়ে আসার সময় ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এ সময় শত শত গ্রামবাসী কিন ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

‘পরের দিন সকালে সৈন্যদের চলে যাওয়ার আগে আমরা গ্রাম থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘দুই শতাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে… আমার বাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শুধু কংক্রিটের ভিত্তি বাকি আছে।’

এএফপির হাতে পাওয়া ড্রোন ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলো থেকে আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়ছে। চিন্দউইন নদীর প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধোঁয়ার এই কুণ্ডলি দেখা গেছে।

ভিডিওতে দেখা যাওয়া একটি ক্লিনিকের অবস্থান কে তাউং গ্রামের অবস্থানের সাথে মিলে গেছে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাওয়া একটি আগুনের চিত্র গত সপ্তাহে কে তাউং এবং কিন গ্রামের সাথে মিলে গেছে।

সৈন্যরা বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমারের জান্তা বলছে, ‘সন্ত্রাসী’ পিডিএফের যোদ্ধারা আগুনের লাগিয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জান্তা প্রধান মিং অং হ্লেইং বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ প্রতিরোধে অভিযান চালানোর সময় যতটা সম্ভব হতাহতের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারকে তিনি বলেন, ‘দেশ এখন শান্ত রয়েছে।’

সূত্র : এএফপি/এনডিটিভি

               

সর্বশেষ নিউজ