পদ্মা সেতুতে বেপরোয়া গতিতে চালানো এবং দুর্ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানির ঘটনায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেই নিষেধাজ্ঞা আসন্ন ঈদুল আজহার আগে উঠছে না।মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে এই বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে আসেন সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে কি না?
জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে ওনারা (কর্তৃপক্ষ) কাজ করছেন। পদ্মাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ (এআই) ক্যামেরা বসবে। স্পিডগানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর ওনারা কমফোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।’
এটা ঈদের আগে হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে হওয়া খুব ডিফিকাল্ট বলে আমার মনে হচ্ছে।ঈদের আগে মনে হয় না, এটা হবে।’
গত ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হয় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুতে উঠতে রীতিমতো পাল্লা দেওয়া শুরু হয় বাইকারদের।১০০ টাকা টোল দিয়ে সেতুতে উঠে বাইকারদের অনেকেই নিয়ম না মেনে হুল্লোড়ে মাতেন। বেপোরোয়া গতিতে বাইক চালাতে শুরু করেন অনেক।
ওইদিন সন্ধ্যায় সেতুতে মোটরসাইকেলে চড়ে মোবাইলে ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান দুই তরুণ। এই দুর্ঘটনার পরই সেতুতে মোটরসাইকেল ওঠা নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ। চালুর একদিন পরই এই সিদ্ধান্তে দুর্ভোগে পড়েন বাইকাররা।
এ প্রেক্ষাপটে ২৮ জুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসি ক্যামেরা বসানোর পর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।