রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত এপ্রিলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার ‘বড় ঝুঁকি আছে’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন হুমকি-ধামকি চলার মধ্যে- পারমাণবিক যুদ্ধ ও এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি। কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে তারা বলেছে, বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক পারমাণবিক যুদ্ধ হলে এর মারাত্বক প্রভাব পড়বে পুরো পৃথিবীতে।
তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পারমাণবিক যুদ্ধ হলে পুরো বিশ্ব অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা কমে যাবে। তাপমাত্রা কমার দরুন বিশ্বে বরফ জমা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
পারমাণবিক যুদ্ধ হলে তাপমাত্রা কমে যাবে কারণ পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ছুঁড়লে যে ধোঁয়া ও ঝুল বের হবে সেটি উপরের দিকে যাবে এবং আস্তরণ তৈরি করবে। এতে করে সূর্যর তাপমাত্রা নিচে আসতে পারবে না। আর সূর্যর তাপ নিচে না পৌঁছানোয় মাত্র এক মাসের মধ্যে তাপমাত্রা কমে যাবে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা কমায় সমুদ্রের তাপও কমে যাবে। এতে করে ৬ মিলিয়ন স্কয়ার মাইল অংশজুড়ে বরফ জমা হবে। বরফ জমে গেলে চীনের তিয়ানজিন, কোপেনহেগেন এবং রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দরগুলো আটকে যাবে।
আর পারমাণবিক অস্ত্রের প্রভাবে বরফ জমে গেলে সেগুলো কয়েক হাজার বছরও স্থায়ী হতে পারে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক সহকারী অধ্যাপক চেরিল হ্যারিসন বলেন, এটি কোনো বিষয় না- কে কার ওপর বোমা হামলা করবে। এটি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান অথবা রাশিয়া-ন্যাটো। কিন্তু যখন একবার ধোঁয়া উপরের দিকে যাবে এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে এবং সকলের ওপর প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: এনডিটিভি, ব্লুমবার্গ