শ্রীলকায় অর্থনীতির দুরঅবস্থার কারণে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা কিছুতেই থামছে না।
শনিবার নতুন করে আবার দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে৷ এদিন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে আসেন৷ তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করেন এবং সেখানে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি করেন।
এরপর রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে দলগুলো নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে।
সেই বৈঠকে তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানান অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ এ আহ্বানের পর বিক্রমাসিংহে জানান তিনি পদত্যাগ করবেন৷
কি হবে এখন শ্রীলংকার রাজনীতিতে?
দেশটির বিরোধীদলগুলো চায় সর্বদলীয় সরকার গড়তে। বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন৷
শ্রীলংকার রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় তাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেওয়ার পর৷
মূলত বৈদিশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার পর তাদের বিপর্যয় শুরু হয়। বাইরে থেকে জ্বালানি আনার বিষয়টিও বন্ধ হয়ে যায়৷
আর জ্বালানির অভাবে পড়া মানুষ এখন অধৈর্যশীল হয়ে পড়েছে। তারা এখন চায় ক্লিন ইমেজের মানুষ তাদের দেশ চালাবে। এমন কাউকে পাওয়ার আগ পর্যন্ত এমন দুরঅবস্থা হয়ত চলতে থাকবে।