কোরবানির ঈদের প্রভাবে বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম শুনে মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে। ঈদে আগে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা কমেছে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। একইভাবে কমেছে সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম। ২৮০-২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। আর লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ ও কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে ১৫০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। প্রতি কেজি মাছে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০-৪০ টাকা বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। ঈদে যা ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটোর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে টমেটোর কেজি ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এসব বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।
বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। দাম কমেছে পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও চায়না রসুন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশী মসুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকায়।
বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা ও দেশী মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১৯০ টাকায়।
গত রোববার থেকে এক টানা গোশত খেয়ে অনেকের কাছে এখন তা অরুচির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই গোশতের বদলে এবার নগরবাসী আমিষ খোঁজার চেষ্টা করছেন মাছে। চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে মাছের দাম। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় রুই ৩৫০-৪০০, মাঝারি রুই ৩০০-৩৫০, কাতলা ২৮০-৩০০, বড় পাঙ্গাশ ২০০-২৫০, গলদা চিংড়ি আকার ভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ ৯০০, ১১০০ ও ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পাবদা ৪৫০, বড় পাবদা মাছ ৬০০, গোলশা ৭০০, পোয়া ৬০০, বাইম ৯০০, বাতাসি ৮০০, মলা ৫০০, কাঁচকি ৫০০-৬০০, শিং ৪৫০-৫০০ এবং গুঁড়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে।