২৩, ডিসেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

পোল্যান্ডে গণকবর খুঁড়তেই বের হলো ৮ হাজার মানুষের দেহভস্ম

পোল্যান্ডের দুটি গণকবর থেকে কমপক্ষে আট হাজার মানুষের দেহভস্ম পাওয়া গেছে। দেহভস্মের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৭ টন।

ওই দেহভস্ম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিহতদের বলে দাবি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আধপোড়া কাপড়। এ ঘিরে হইচই পড়ে গেছে। খবর বিবিসি ও আনাদোলুর।

সোলদাউতে (বর্তমানে ‘দিজিলয়ালদো’ নামে পরিচিত) নাৎসি বাহিনীর রাজনৈতিক বন্দিশিবিরের (কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প) কাছেই ওই গণকবর।

পোল্যান্ডের ন্যাশনাল রিমেমব্রেন্স ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা টমাস জানকোস্কি জানিয়েছেন, খুনের প্রমাণ নষ্ট করতেই দেহাবশেষগুলো সেখানে পুতে রাখা হয়।

দেহভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে এ ব্যাপারেও আর তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোলদাউতে ইহুদি, নাৎসিবিরোধী ও পোল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণির মানুষদের হত্যা করেছিল নাৎসিরা। ১৯৩৯ সালে এখানে বন্দিশিবির তৈরি করা হয়েছিল।

মনে করা হচ্ছে, প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। ফলে আরও মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাটির ১০ ফুট গভীরে দুটি কবরে সাড়ে ১৭ টন দেহভস্ম পাওয়া গেছে। গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আধপোড়া কাপড়, বোতাম ও অন্যান্য সামগ্রী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হত্যার আগে মৃতদের থেকে সামগ্রী লুট করে তার পর তাদের দেহগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

পোল্যান্ডের বিয়ালুকি জঙ্গল থেকে হদিস পাওয়া গেছে ওই গণকবরের। বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের হত্যা করার জায়গা হিসাবে পরিচিত ছিল ওই জঙ্গল।

কিন্তু ঠিক কোথায় কবরস্থল রয়েছে ও কতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

               

সর্বশেষ নিউজ