কোনো নারী যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়, তাহলে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির পর আসামিকে আগাম জামিন দেওয়ার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ এমনটি উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, রাজস্থানের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ষড়যন্ত্রসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন এক তরুণী। তার অভিযোগ, প্রায় চার বছর আগে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। সম্পর্কে জড়ানোর সময় তরুণীর বয়স ছিল ২১ বছর।
চলতি বছরের ১৯ মে তরুণীর করা মামলা থেকে আগাম জামিন চেয়ে রাজস্থানের হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি। এরপর তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টে যুবকের আগাম জামিন শুনানি করেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ। শুনানি শেষে আসামিকে জামিন দেন সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে জামিন দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে দুই বিচারপতি উল্লেখ করেন, অভিযোগ করা তরুণী স্বেচ্ছায় আসামির সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এখন সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ৩৭৬(২) (এন) ধারা অনুযায়ী এফআইআর করার ভিত্তি হতে পারে না। এ মর্মে আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে আদালত জানিয়েছেন, এ নির্দেশ শুধু আগাম জামিন সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাকি তদন্তকাজ নিজস্ব গতিতে চলবে।