ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের সেনারা রুশ বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম।
ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
মধ্যরাতে এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বৈঠকের বিষয়ে আলাপ করেন। এতে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের দেওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা ব্যাহত করেছেন ইউক্রেনের সেনারা।
আমাদের সেনাবাহিনীর মনোবল যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। তারা রুশ আগ্রাসন রুখে দিতে তাদের সেনাবাহিনীর বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ৫ মাস হয়ে গেল, কিন্তু এখন পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই।
একের পর এক অঞ্চল দখল করে নিচ্ছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি যোদ্ধারা।
এ অবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। তাই এবার তারা তাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে নেমেছেন।
দেশটির দোকানদার, গাড়িচালক ও শিক্ষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন দেশকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় এ যুদ্ধে নেমেছেন।
তারা এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মুখযুদ্ধে নেমে পড়েন। দেশটির খেরসন অঞ্চলটি রাশিয়ার কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে এসব স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদের মধ্যে একজন হলেন ৪৯ বছর বয়স্ক গাড়িচালক ভালোদিয়া। তিনি যুদ্ধেক্ষেত্রে সেনাদের জন্য খাবার রান্না করে সাহায্য করছেন।
তার মতো আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক এখন দেশ বাঁচাতে যুদ্ধে নেমেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আগে গাড়ি চালাতাম, এখন আমার পরিচয় যোদ্ধা হিসেবে। আমি দেশের জন্য লড়তে পেরে অনেক খুশি।
সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য খাবার রান্না করা এখন আমার কাজ। আমি যথাযথভাবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
যুদ্ধক্ষেত্রে একেক জনের ভিন্ন ভিন্ন কাজ থাকে, আমার কাজ সেনাদের জন্য রান্না করা। এটিও যুদ্ধেরই অংশ।
সবাই আমার খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট। সেনারা আমার রান্না করা খাবার বেশ মজা করে খান এবং রান্নার প্রশংসা করেন।
ভালোদিয়া জানান, ভোর ৬টায় তার কাজ শুরু হয়। সকালে প্রথমে তিনি সব সেনাকে কফি খাওয়ান। তার পর তিনি তাদের জন্য নাস্তা তৈরি করেন।
তিনি আরও বলেন, এভাবে দুপুর ও রাতের খাবারও আমি তাদের জন্য রান্না করি। সেনাবাহিনী এখন প্রধান সমস্য খাবারের অপ্রতুলতা। আমি তাদের জন্য বেশিরভাগ সময় আলু ও মাংস দিয়ে স্যুপ রান্না করে থাকি।
এভাবে অনেকে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে নেমেছেন। সহায়তা করছেন সম্মুখ যোদ্ধাদের।