রাশিয়ার নৌবাহিনীর ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন। সাবমেরিনটির নির্মাতারা একে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে দাবি করেছে। তবে এই সাবমেরিন নজরদারি চালাতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এই সাবমেরিনই ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের’ সূত্রপাত ঘটবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
দেশের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাতা সেভমাশ শিপইয়ার্ডের মতে, এই মাসের শুরুতে সেভেরডভিনস্ক বন্দরে বেলগোরোড নামে ওই সাবমেরিন রাশিয়ান নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ওই সাবমেরিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নকশাটি রাশিয়ার অস্কার টু শ্রেণীর গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিনের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ, যা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত স্টিলথ টর্পেডো এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য সরঞ্জাম নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
যদি বেলগোরোড সফলভাবে রাশিয়ান নৌবহরে সেই নতুন সাবমেরিন যোগ করতে পারে, তাহলে এটি পরবর্তী দশকে সমুদ্রের নীচে স্নায়ুযুদ্ধের দৃশ্যপট ফিরে আসার মঞ্চ তৈরি করতে পারে। সে সময় মার্কিন এবং রাশিয়ান সদস্যরা উত্তেজনাপূর্ণভাবে মুখোমুখি হয়ে একে অপরকে ট্র্যাকিং এবং হামলা চালাতে পারবে।
১৮৪ মিটার (৬০৮ ফুট) এরও বেশি উচ্চতার বেলগোরোড বর্তমানে সমুদ্রের দীর্ঘতম সাবমেরিন – এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর ওহিও শ্রেণীর ব্যালিস্টিক এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনের চেয়েও দীর্ঘ এই সাবমেরিন। ওহিও শ্রেণীর ব্যালিস্টিক এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনের দৈর্ঘ ১৭১ মিটার (৫৬৯ ফুট)।
বেলগোরোড ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে। ২০২০ সালে পরীক্ষার পরে সেটি রাশিয়ান নৌবাহিনীর কাছে সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে করোনভাইরাস মহামারির কারণে তা বিলম্বিত হয় বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। সূত্র: সিএনএন