প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল যারা ভোটার তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে। আর যদি উনারা ভোটকেন্দ্রে না আসেন, তাহলে বোঝা যাবে গণতন্ত্রের অসুস্থতা রয়েছে বা গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হচ্ছে। রোববার (২৪ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত ইসলামিক ফ্রন্ট সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, এটা ঠিক যে অনেকটা ইয়ে আমরাও দেখেছি ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, গণতান্ত্রিক চেতনাকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, যারা ভোটার তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে। আর যদি উনারা ভোটকেন্দ্রে না আসেন, তাহলে বোঝা যাবে গণতন্ত্রের অসুস্থতা রয়েছে বা গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হচ্ছে।এটা আপনাদের সঙ্গে আমি একমত। কারণ আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের শাসন। প্রজারা সরাসরি শাসন করে না, তারা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে করে।
তিনি বলেন, আমাদের কি কি ক্ষমতা আছে, এগুলো আমরা দেখছি। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ক্ষমতা আমাদের আছে, তার মধ্যেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। কতটা তৎপর থাকতে থাকতে হবে সে আশ্বাস দিচ্ছি। আইন ও বিধির আলোকেই ক্ষমতা প্রয়োগ করবো। আমরা শাসনতান্ত্রিকভাবে দেখবো। অবাধ, উৎসমুখব নির্বাচনের চেষ্টা চালাবো। সবাইকে আহ্বান জানাব, সে লক্ষ্যে আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে কেবল তার ওপর নির্ভর করলে ভয়ংকর হবে। আপনাদের যে দায়িত্ব রয়েছে সমবেতভাবে সেই আরাধ্য কাজটা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আমরাও শক্তি পাবো। আমরা ভোটারদের ভোটাধিকারের মাত্রা পুরোপুরি দিতে পারবো।
এর আগে দুপুরে জাসদের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেছিলেন, সিইসি বলেন,আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না।ক্ষমতা খুব একটা অভাব আছে-এটা ফিল করছি না। আইনানুগভাবে প্রয়োগ করলে সহযোগিতা দেন, সমর্থন না দিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করেন তাহলে কঠিন হবে। আমাদের উপর আরোপিত ক্ষমতাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করবো।”
রোববার সকালে খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকাও হবে অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বলছে নির্বাচনকালীন সরকার, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বা সেটি কিভাবে হবে, তবে সরকার থাকবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, সেই সরকার আমাদেরকে সহায়তা করবে। সেটি সরকারের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে। কমিশন তার দায়িত্ব ও ক্ষমতা সংবিধান, আইন ও বিধির আলোকে প্রয়োগ করবে।
সংলাপে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম আবু নাছের তালুকদারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সংলাপে ৪ টি আসার কথা থাকলেও বিকালে বিএনপি জোটের শরিক জেএসডি সংলাপে অংশ নেয়নি। এ নিয়ে ইসি মোট ২০ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ১৬ দল। আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি ৪ টি দল।