২২, ডিসেম্বর, ২০২৪, রোববার
     

৩০০ আসনেই ইভিএম চায় বিকল্প ধারা

ত্রুটিমুক্ত নয়, মানুষ এখনো অভ্যস্ত হয়নি ইত্যাদি তকমা দিয়ে একাধিক রাজনৈতিক দল যখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চাচ্ছে না তখন এই যন্ত্রটি দিয়ে ৩০০ আসনে ভোটগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন দাবি জানায়।

সংলাপে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে দলটির মহাসচিব বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বহু বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে। তার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন, তাই আপনাদের সাধুবাদ জানাই- যা পুরো দেশে প্রশংসিত হয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা সফল হোক, তার জন্য দলীয়ভাবে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আপনাদের সবধরনের সহযোগিতা করবে, তার পুরো আশ্বাস দিচ্ছে। ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আপনাদের এটাকে জনপ্রিয় করতে হবে।

বিকল্প ধারা ইসিকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে

সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হলে অন্তত ভোট কারচুপি বন্ধ হবে। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না। নির্বাচনের সময়ে যেন ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি না হয় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভোটের ক্যাম্পেইনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ভোটারদের ভোট দেওয়ার গোপনীয়তা নিশ্চিতকরা, ভোটকেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ভোট কেন্দ্রে পেশীশক্তি ব্যবহার রোধে প্রতি ভোটকেন্দ্রে সামরিক বাহিনীর অন্তত পাঁচ সদস্যের নিয়োগ করা ও ভোট কেন্দ্রে দ্রুত ভোট গণনা সম্পন্ন করে ভোটের ফলাফল উপস্থিত এজেন্টদের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা।

প্রস্তাব শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ইসির সফলতা পরিমাপ করা যাবে না। আমি পুরোপুরি সফল হলাম, না আংশিক সফল হলাম, না পুরোপুরি ব্যর্থ হলাম এটা নির্ভর করবে জনগণ কিভাবে প্রভাবিত করে। কোনো বাটখারা দিয়ে সেটা মাপ দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন যথেষ্ট কঠিন একটা কাজ। এই কঠিন কাজটি করতে আপনার, আমাদের সক্রিয় সহায়তা লাগবে।

তিনি বলেন, রাজনীতি থেকে গণতন্ত্রের জন্ম। অনেক আগে যখন ক্ষমতা নিয়ে, তারপর আস্তে আস্তে তারাই সৃষ্টি করলেন একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নির্বাচনের। সেই নির্বাচনকে যদি বাঁচিয়ে রাখা না যায় তাহলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে। রাজনীতি থাকবে না। ওটাকে রাজনীতিও বলা যাবে না, গণতন্ত্রও বলা যাবে না। তখন অন্যকোনো তন্ত্রে আপনারা চলে যান, সেটা ভিন্ন কথা।

               

সর্বশেষ নিউজ