২৪, ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার
     

দেশজুড়ে বজ্রপাতে একদিনে ৮ জনের মৃত্যু

দেশজুড়ে সাতটি জেলায় বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নীলফারীতে ২ জন, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সিরাজগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন। শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

নীলফামারী

নীলফামারী সদরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে কচুকাটা ও চাঁদেরহাট এলাকায় পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও দুই কৃষক আহত হয়েছে। তাদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। দুপুরে উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তি হলেন, একই গ্রামের মৃত গোপাল মল্লিকের ছেলে সোনা মল্লিক (৭০)।

বগুড়া

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে ওই ইউনিয়নের ঘোরদৌড় গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের নলবাড়িয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ফিজার হোসেন (৩৬)।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই মহিষসহ মোজা মিয়া (৫২) নামে এক রাখালের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৌলমারী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণায় বজ্রপাতে দুলাল মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের আসমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি আসমা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। সন্ধ্যায় বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাদ নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রাজারামপুর হাসিনা গার্লস স্কুল মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত সাদ রাজরামপুরের মৌলভী পাড়া মহল্লার সেরাজুল ইসলামের ছেলে।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ওষুধ কিনে ফেরার পথে বজ্রপাতে জামিলা খাতুন (৬০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার তালম ইউনিয়নের হাড়িসোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জামিলা খাতুন একই গ্রামের খাজেম আলীর স্ত্রী। বিষটি নিশ্চিত করে ১নং তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক বলেন, জমিলা খাতুন দুপুরে পাশেই গ্রাম্য ডাক্তারের বাড়ি থেকে ওষুধ নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে তিনি রাস্তার মধ্যেই মারা যান।

               

সর্বশেষ নিউজ