গত শুক্রবার লুহানেস্কের ওলেনিভকা নামক একটি কারাগারে ঘটে অমানবিক হামলা। সেই হামলায় ইউক্রেনের আজভ ব্রিগেডের প্রায় ৫০ জন যুদ্ধবন্দি সেনা নিহত হন। তারা সবাই মারিউপোলে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে এসব সেনাদের হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করে রাশিয়া নিজে হামলা চালিয়েছে।
বুধবার ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জোরালোভাবে দাবি করেছেন, সেই কারাগারে রাশিয়াই হামলা করেছিল এবং তারা বেশি কিছু প্রমাণ পেয়েছেন। এটি রাশিয়ার বিশেষ অপারেশন ছিল।
গোয়েন্দা তথ্য, স্যাটেলাইট তথ্য এবং ফোনালাপের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন সেসব যুদ্ধবন্দিদের মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও দাবি করেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ এ হামলা পরিচালনা করে। ওয়াগনার গ্রুপ ভ্লাদিমির পুতিনের এফএসবি গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা জানান রাশিয়া এ হামলা চালিয়েছে এর অনেক প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
ওই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, হামলার কিছুক্ষণ আগে ব্যারাকের পাশে রুশ সেনারা কবর খুঁড়েছিলেন। তাছাড়া হামলার আগে সেসব সেনাদের জঙ্গি হিসেবে প্রচার করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবারে চালানো সেই হামলার আগেরদিন এসব সেনাদের ওলেনিভকা কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
এই কর্মকর্তা আরও দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে হয়ত এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান