সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের’ হুমকি দেয়া হয়েছিল আগেই। আমেরিকার যুদ্ধবিমানের ঘেরাটোপে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির ফ্লাইট তাইওয়ান ছেড়ে দক্ষিণ পাড়ি দেয়ার পরেই সক্রিয় হলো চীন। বুধবার বিকেলে বেইজিংয়ের তরফে গোটা তাইওয়ান প্রণালীকেই বিপজ্জনক অঞ্চল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চীনা হুঁশিয়ারির মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ চীন সাগর এড়িয়ে তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দরে পৌঁছন ন্যান্সি এবং তার সফরসঙ্গী কংগ্রেস সদস্যেরা। ওই সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় অন্তত ২০টিরও বেশি চীনা ফাইটার জেট অনুপ্রবেশ করেছিল। বুধবার দিনভর দফায় দফায় তাইওয়ান প্রণালীর উপর চীনা যুদ্ধবিমানের উড়ান নজরে এসেছে। পাশাপাশি, জারি হয়েছে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধও। তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী চীন খাদ্যপণ্য আমদানি এবং বালি সরবরাহ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনা হুঁশিয়ারির মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ চীন সাগর এড়িয়ে তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দরে পৌঁছন ন্যান্সি এবং তার সঙ্গীরা। ওই সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় অন্তত ২০টিরও বেশি চীনা ফাইটার জেট অনুপ্রবেশ করে। যার জবাবে জাপান থেকে তাইওয়ানের আকাশে পৌঁছেছিল আমেরিকার যুদ্ধবিমানও। এক দিনের ঝটিকা সফরে ন্যান্সি যে ভাবে সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন, তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন সামরিক ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে ন্যান্সির সফরের সমাপ্তি দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন সঙ্ঘাতের সূচনা করতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা