দেশে জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। এ সময় তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। আজ শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় মশাল মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত হয়ে হাতিরপুলে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীদের,‘দাম বাড়ালে জ্বালানি, জনগণ দেবে কেলানি’, ‘দাম বাড়ানো সরকার, আর নাই দরকার’, ‘গরিব মারা সরকার, আর নাই দরকার’, ‘জ্বালানির দাম কমায় দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘স্বৈরাচারের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। এর আগে বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি। মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি অনুপম রায় রূপক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, এই বিনা ভোটের সরকার বলেছেন, আমাদের পেট্রোল, অকটেন কিছুই আমদানী করতে হয়না। অথচ সব ধরণের জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে গেল কয়েকদিনের মধ্যেই। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি সারের দাম বেড়েছে। এভাবে সব কিছুর দাম আরও কয়েকগুণ বাড়বে। সাধারণ মানুষকে এই বোঝা টানতে হবে। এটা আমরা মেনে নিব না। এ সময় তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি এই দাম প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম এই সরকার রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে। এক লাফে এত দাম বাড়ার নজির ইতিহাসে নাই। আমরা মনে করি সরকার তার লুটপাটের অংশ, তার নেতাকর্মী ও গোষ্ঠীদের সুবিধা দিয়েছে এবং যে পরিমাণ টাকা পাচার করেছে সেটা যাতে তারা তুলতে পারেন, সে দায় জনগণের ওপর চাপাচ্ছেন।