সুইজারল্যান্ডের সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিষয়ে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কেন তথ্য চায়নি, তার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ খুরশীদ আলম খান।
আদালত থেকে বেরিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ কোর্টে উঠেই আমাদের বললেন, ‘পত্রপত্রিকায় আমরা সুইস অ্যাম্বাসেডরের বক্তব্য পড়েছি।’ কোর্ট বলেছেন, ‘আপনার এ বিষয়ে অবহিত হন। আগামী রোববার এ বিষয়ে আমরা একটা আদেশ দেবো।’ এর মধ্যে আমরা দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেব।”
গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড।
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশীরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশী ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশীরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’