২৫, ডিসেম্বর, ২০২৪, বুধবার
     

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেতে আগুন, কাঁচা মরিচের কেজি ২৮০, ডিমের হালি ৪৭

বগুড়ায় দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জরুরি পণ্যগুলোরই দাম বেড়েছে দফায় দফায়। এর মধ্যে হঠাৎ জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে বাজারে যেন আগুন লেগেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায় গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত।

এর মধ্যে বিশেষ করে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি থেকে এক লাফে ২৮০ টাকা, ডিম ৩৩ টাকা হালি থেকে বর্তমানে ৪৭টাকা, পিয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৫০টাকা হয়েছে।

দামবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব ফেলছে দ্রব্যমূল্যে। এতে বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ বড় ধরনের ভোগান্তির মুখে পড়েছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেগুন কেজি প্রতি জাতভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬-৭৫ টাকা, মুখী ৪০-৫০ টাকা, চিচিংগা ৪০-৪৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটল ৪০-৪৫ টাকা, শসা হাইব্রিড ৫০ টাকা, দেশী শসা ৫৫-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, পেপে ৩০ টাকা পিয়াজ ৫০ টাকা, চালকুমড়া আকার ভেদে প্রতিপিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, আলুর কেজি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বিভিন্ন বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, কাঁচামরিচের দাম পাইকারি বাজারেও ২৬০ টাকা খুচরা বাজারে ২৮০টাকা। আমরা কেজি প্রতি ২০ টাকা লাভ করে থাকি। পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমাদের কিছু করার নেই।

তারা আরও জানান, কেজি প্রতি ২০টাকা লাভ করতেই হবে। কারণ গাড়ীভাড়া ও খাজনা দিতে হয় এছাড়াও খুচরা বিক্রয় করতে গেলে কিছুটা ঘাটতি হয়। পৌর শহরের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে কয়েকজন কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আসাদুল, আলমগীর, শাহিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মরিচের আমদানি কম হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী বাইরে থেকে আমদানি করতে না পারায় কাঁচা মরিচের বাজার এতটা বেড়ে গেছে।

বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা সার্বক্ষনিক চালু আছে।

               

সর্বশেষ নিউজ