রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের দীর্ঘতম ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী মিখাইল পোদোলিয়াক এই হুমকি দেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন কিয়েভ ব্রিজটিতে আক্রমণ করতে চায় তার ব্যাখ্যা দিয়ে মিখাইল পোদোলিয়াক গার্ডিয়ানকে বলেন, এটা একটা অবৈধ স্থাপনা এবং ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর রসদ সরবরাহের প্রধান রাস্তা।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ক্রিমিয়া ব্রিজটিতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে ইউক্রেন। রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ায় সরাসরি সড়ক পথ তৈরি করতে ২০১৮ সালে ক্রিমিয়া ব্রিজটি নিমার্ণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের আগে রাশিয়া থেকে সমুদ্র কিংবা আকাশ পথে ক্রিমিয়া যাওয়া যেত। ব্রিজ প্রধানত বেসামরিক যান চলাচলে ব্যবহৃত হয়।
এদিকে, ক্রিমিয়ার তিনটি আলাদা স্থানে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগের সপ্তাহে ক্রিমিয়ার সাকি বিমান বন্দরে হয়েছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কে হামলা করেছে এটি এখনো নিশ্চিত না। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেন এর পেছনে রয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকবার কেঁপে ওঠেছে ক্রিমিয়া। কৃষ্ণ সাগর ঘেরা সমুদ্র সৈকত বেষ্টিত এই ক্রিমিয়া উপদ্বীপটি ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর এখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে রাশিয়ার সরকার। গ্রীষ্মে হাজার হাজার রাশিয়ান এই উপদ্বীপে জড়ো হন।
কিন্তু ক্রিমিয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় উপদ্বীপটি ছেড়ে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো বলছে ক্রিমিয়া ব্রিজ ব্যবহার করে রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি বের হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ধারণা করা যাচ্ছে ২০১৪ সালে উপদ্বীপটি দখল করার পর রাশিয়ার যেসব বাসিন্দা এখানে বসতি গড়েছিলেন তারা পালিয়ে যাচ্ছেন।