১৮, নভেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

সরকার না, ওদের টার্গেট শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, যারা ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে, যারা বাংলার মাটিতে স্লোগান দেয় ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, যারা ৮১ সালে শেখ হাসিনাকে তার মা-বাবার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে দেয়নি- ওদের টার্গেট এই সরকার ফেলা না, ওদের টার্গেট শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া। নো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নো, চা খাইয়ে ওদের সঙ্গে আপনি গণতন্ত্র চর্চা করেন- এটা বাংলার মানুষ চায় না।

শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। কারণ তিনি এ দেশের আগামী প্রজন্মের সম্পদ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। তাই ফখরুল সাহেবরা লন্ডনের নির্দেশে মরণ খেলায় নেমেছেন। আপনারা খেলবেন আমাদের সঙ্গে। কবে খেলবেন বলেন। আমরাও খেলতে চাই। আপনারা ধ্বংসের পক্ষে আমরা খেলব ধ্বংসের বিপক্ষে। আপনারা খেলবেন সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে আমরা খেলব অসাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে।

বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে আর সেই নির্দেশে আপনারা ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মতো বাংলাদেশে বসে লাফাচ্ছেন। বিদেশ থেকে টাকা আসছে ষড়যন্ত্র সফল করতে কিন্তু লাফানোর আগে চিন্তা করেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন। লন্ডন থেকে হুকুম দিচ্ছেন, ছেলে হয়ে তো আসলেন না বাংলাদেশে। বুকে কলিজা নাই, নাকি সাহস নাই। আপনি লন্ডনে আরামে থাকেন, নিজের ছেলের বউ তো বড় নামকরা ডাক্তার। শাশুড়ি তো মায়ের মতোই। তিনিও তো আসতে পারতেন, আসলেন না। তাদের একজন মেয়েও আছে। দাদিকে দেখতে তো একবারও আসলেন না। যারা তার কথায় নাচছেন তারা কী ভেবেছেন যারা মায়ের জন্য আসে না, আপনি বিপদে পড়েন সে কি আপনার জন্য আসবে?

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে। বঙ্গবন্ধু আর ১৫ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মতো উন্নত দেশ থাকত। আপনারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ করেন এটা বলব না। আমি বলব শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের স্বপ্ন না; শেখ হাসিনা আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

এ সময় বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর চা খাওয়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নো। আপনি নীলকণ্ঠি, বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন কিন্তু চেষ্টা করেও আমরা নীলকণ্ঠি হতে পারব না। কোকো মারা গেল জাতির পিতার কন্যা গেলেন তার বাসায় সহানুভূতি জানানোর জন্য। তাকে অপমান করা হলো। আপনি আবারো বলছেন গণভবন পর্যন্ত আসলে চা খাওয়াবেন। এটা হতে পারে না। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করে যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সংসদে বসায়, বাংলার মানুষ চায় না, আপনি তাদের চা খাওয়াবেন কী করে?

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল। এতে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।

               

সর্বশেষ নিউজ