২৭, ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার
     

নবাবগঞ্জের লোকা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ:দেখার কেউ নাই

নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর) থেকে সৈয়দ হারুনুর রশীদঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের অন্তর্গত লোকা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মন্ডল ও সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রবির কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে না এসেও নিয়মিত বেতন তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষাথর্ী সহ এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায় উপরোক্ত দুই শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। অথচ তারা উভয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর চলমান রেখেছেন। একটি সূত্র জানায় হাজিরা খাতা বিদ্যালয়ের করণিকের মাধ্যমে নিজ বাড়ীতে নিয়ে তারা ওই স্বাক্ষর করে আসছেন।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও কতর্ৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়া সহ বিদ্যালয় পরিদর্শনেও আসেন নাই। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মন্ডল গত ১৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৫-৫-২২ ইং তারিখের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অসদাচরন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত হিসাব প্রদানে অনিহা সহ বিভিন্ন অনিয়ম অর্থ আত্মসাতের কারনে প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মন্ডলকে গত ৩০ -৫-২২ ইং তারিখে তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না এসে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে একটি এডহক কমিটি করে নিয়ে আসেন। এখন এডহক কমিটি তার বিরুদ্ধে আনিত ব্যবস্থা স্থগিত করে তাকে নিয়মিত বেতন দিয়ে আসছেন। তবে তিনি বিদ্যালয়ে এখনও আসেন না। অপর দিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রবির কুমার রায় গত জুন মাস থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনিও নিয়মিত বেতন তুলছেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপর দিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রবির কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে কল হলেও তিনি ফোন গ্রহন না করায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল হোসেনের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওই বিদ্যালয়ে একটু সমস্যা হয়েছে যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান বিষয়টি তঁার জানা নাই খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি জানেন না বলে জানান।

               

সর্বশেষ নিউজ