নানানভাবে শালীনতার প্রশ্ন তোলা হয়, শালীনতা কি শুধু নারীর পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ? শালীনতা শুধু পোশাকে নয়, পোশাক, আচার-আচরণ, কথা কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তার মধ্যে শালীনতা দরকার। শালীনতা শুধু নারীর নয় পুরুষ ও প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,
সম্প্রতি নারীর পোশাক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শালীনতার প্রশ্ন তোলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের বলেন, নানানভাবে শালীনতার প্রশ্ন তোলা হয়, শালীনতা কি শুধু নারীর পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ? শালীনতা শুধু পোশাকে নয়, পোশাক, আচার-আচরণ, কথা কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তার মধ্যে শালীনতা দরকার। শালীনতা শুধু নারীর নয় পুরুষ ও প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য যারা প্রশ্নগুলো তোলেন, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রশ্ন তোলেন, আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি সেই অগ্রযাত্রাকে ব্যবহত করে আমাদের বিপথে চালিত করবার জন্য প্রশ্ন তোলেন। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। তখনকার সাম্রাজ্যবাদীরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। গণহত্যাকে সমর্থন করেছে, অস্ত্র দিয়েছে। এমনকি আমাদের স্বাধীনতাকে ঠেকানোর জন্য সাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল।’
বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের দাবির বৈধতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এজন্য বিশ্ব মানবতা বাঙালিদের পক্ষে ছিল উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘এমনকি যে দেশ আমাদের বিপক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, সেই দেশের জনগণও আমাদের পক্ষে ছিল। সেই বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমগ্র পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে নিরস্ত্র বাঙালির সেদিন বিজয়ী হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শোষিতের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’