১, নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার
     

লুঙ্গি পরার জেরে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি, আহত ১২

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে বের হওয়ার জেরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ ছাত্র আহত হয়েছেন।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ পার্শ্ববর্তী অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৭ আগস্ট রাতে ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হুজ্জাতুল্লাহ লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। এ সময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম রিংকু তাকে ডেকে লুঙ্গি পরে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করায় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে রিংকু হুজ্জাতুল্লাহকে থাপ্পড় দেন। এ ঘটনার জেরে ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে হলে প্রবেশের সময় রিংকুকে হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধু আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিনসহ দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন জুনিয়র মারধর করেন।

এ ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার দুপুরে নামাজ শেষে ফেরার পথে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ও তার বন্ধুরা চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন।

আল আমিন বলেন, নামাজ শেষে আসার পথে অনুষদ ভবনের সামনে এলে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু, হামজা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের আশিক, লোকপ্রশাসন বিভাগের জামিলসহ তার বন্ধুরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেন। আমাকেসহ আমার বন্ধুদের মারধর করেন তারা। হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের অনুসারী।

এরপর জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিককে দ্বিতীয় বর্ষের আল-আমিন ও তার বন্ধুরা মারধর করেন।

এ সময় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শুভ্র ভৌমিক, অর্ক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ আশিকের।

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ফের প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তার বন্ধুরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে লাঠি, স্ট্যাম্প, রড নিয়ে অবস্থান নেন। বিষয়টি জানতে পেরে জিয়াউর রহমান হলে থাকা আল আমিনের বন্ধু ও সিনিয়ররাও রড ও লাঠি নিয়ে হলের মধ্যে মহড়া দিতে থাকেন। পরে সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে এ মারামারির ঘটনা বারবার ঘটছে। নিরপেক্ষে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনায় যে বা যারা, এমনকি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলেও প্রশাসনের কাছে তার সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব।

               

সর্বশেষ নিউজ