তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং বলেছেন, বারবার সতর্ক করার পরও চীনের ড্রোন তাইওয়ানের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ায়, সেটিকে ভূপাতিত করে সবচেয়ে ‘উচিত’ কাজটিই করেছে তাইপে। শুক্রবার তিনি এই মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এর আগে চীনকে ‘দুষ্টু প্রতিবেশী’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন সু সেং-চ্যাং।
বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সীমান্তে ঢুকে পড়া চীনের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। এই প্রথম কোনো চীনা ড্রোনকে তাইওয়ান গুলি করে ভূপাতিত করেছে তাইওয়ান।
এ ব্যাপারে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, একটি অজ্ঞাত বেসামরিক এরিয়াল ক্যামেরা শিয়ো দ্বীপের কাছে নিষিদ্ধ জলসীমায় ঢুকে পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে ওই এলাকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেখানে তল্লাশি অব্যাহত রাখবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার চীনের উপকূলে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি দ্বীপের কাছে চীনের একটি সামরিক ড্রোন উড়ে আসলে সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে তাইওয়ান। গুলি ছোড়ার পর ড্রোনটি চীনের দিকে চলে যায়।
এদিকে, তাইওয়ান নিয়ে চীন ও ভূখণ্ডটির সরকারের মধ্যে উত্তজনা চলছে অনেকদিন থেকে। এমনকি এই উপত্যকাটিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে চেষ্টার কমতি নেই বেইজিংয়েরও। এমনকি চীনকে পাল্টা হামলার হুশিয়ারি দিয়েছে তাইওয়ান।
বুধবার তাইওয়ান বলেছে, চীনের সশস্ত্র বাহিনী তার ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে আত্মরক্ষা এবং ‘পাল্টা আক্রমণ’ করার অধিকার প্রয়োগ করবে দেশটি। মূলত বেইজিং এই দ্বীপটির কাছে সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর পর এই হুশিয়ারি সামনে এলো।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর দ্বীপটির চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় দেশটি।
পেলোসির সেই সফরের পর দুই সপ্তাহ পার না হতেই তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর আবারও দ্বীপটির চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।