রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁও মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ। এত করে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাদককারবারিরা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের দিক নির্দেশনায় মাদকমুক্ত সমাজ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রুহিয়া থানার পুলিশ। মাদক নির্মূলে প্রতিনিয়তই নানামুখী কার্যক্রম ও অভিযান চলছে।
রুহিয়া থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার, কালীতলা, উত্তরা বাজার, রাজাগাঁও ইউনিয়নের টাঙ্গন ব্যরাজ, নামাজ পাড়া, পাইকপাড়া, ঢোলারহাট ইউনিয়ন ও আখানাগরসহ কয়েকটি স্থানে কমে গেছে মাদকের তৎপরতা। এছাড়া কমে গেছে রুহিয়ার বাইরে থেকে আসা মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা। অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার কারবারিরা।
আগে মাদককারবারিদের নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় এখন এলাকায় মাদকের নির্দিষ্ট কোনো আস্তানা নেই। নতুন করে কেউ আস্তানা তৈরি করতে চাইলেও পুলিশের বিশেষ নজরদারি চলছে।
পুলিশের অভিযানে একাধিক চিহ্নিত মাদককারবারি ও কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়মিত টহলের কারণে অনেক মাদক চোরাচালানকারী গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে কমে গেছে মাদকের সহজলভ্যতা আর জনমনে ফিরছে অনেকটাই স্বস্তি।
ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় পুলিশের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়েছিল মাদক সিন্ডিকেট। তবে চলমান অভিযানে ইতোমধ্যে রুহিয়া পুলিশ এই অঞ্চলের শীর্ষ মাদককারবারিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গা ঢাকা দিয়েছে মাদক সিন্ডিকেট।’
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে এই থানাকে মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলবো এবং মাদকের সাথে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেন, মাদকমুক্ত রুহিয়া থানা গড়তে পুলিশের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। অভিযানে মাদককারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মাদককারবারি বন্ধে জেলা পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। মাদককারবারি যেই হোক না কেন, ছাড় দেয়া হবে না। তিনি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।