কাজী ওহিদ- গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি– গোপালঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের একশ্রেনী বালি ব্যবসায়ীরা ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছেন। প্রশাশন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচা গ্রামে দক্ষিনপাড়া বিলের মধ্যে জামির মাতুব্বর এবং তার আপন বড় ভাই খবির মাতুব্বর দিগনগর ইউনিয়নে কানুরিয়া গ্রামে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করেছেন। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার চুমুরদি ইউনিয়নের পূর্ব সরদী গ্রামের খবির মাতুব্বর ও জামির মাতুব্বরের গ্রামের বাড়ী। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই। এছাড়া লোহাইড় গ্রামের পশ্চিমপাড়া বিলের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক বালি ব্যবসায়ী নিয়মিত ভাবে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছেন। বাটিকামারি ইউনিয়ন সহ উপজেলার কয়েকটি স্থানে অবৈধ বালি ব্যবসায়ীরা সরকারী আইন অমান্য করে বালি উত্তোলন করছেন। কয়েকটি স্থানে দেখা যায় বিলের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় ১/২ কিলোমিটার দুরে পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বালি সরবরাহ করছেন। এব্যাপারে বাটিকামারী ইউনিয়নের তহসিলদার সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমি কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন। তার অফিস হতে মটর সাইকেল যোগে বালি উত্তোলন স্থানে মাত্র ৫/১০ মিনিট সময় লাগে। অথচ এলাকার সাধারন মানুষ জানান তহসিলদারের সহযোগিতা ছাড়া এভাবে বালি ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন বালি উত্তোলন করতে পারেনা। তহসিলদারের সাথে বালি ব্যবসায়ীদের গোপন বিনিময়ের মাধ্যমে বালি উত্তোলন হচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান মুকসুদপুর উপজেলায় যোগদানের পর হতে অবৈধ বালি উত্তোলনের সংবাদ পাওয়ার সাথে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ পেলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন তিনি জানান। মুকসুদপুর উপজেলার অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকার জনগণ