বাংলাদেমের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার পূরণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারকে দেশে কয়েকদিন লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হয়েছে। এখন সে সমস্যা শেষ হয়েছে। তবে, দেশবাসীকে এখন থেকে বিদ্যুতের প্রকৃত দাম দিতে হবে।”
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হলেও, সরকার ভর্তুকি মূল্যে সবাইকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে “
বৈশ্বিক মন্দা বিবেচনায় কম দামে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। তাই (জনগণকে) প্রকৃত মূল্য দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের ব্যবসায়ীসহ সবাইকে মিতব্যয়ীতা অবলম্বন করতে হবে এবং গ্যাস উৎপাদনে আমাদের যে টাকা খরচ হয় এবং পরিবহন খরচ হয় তা সবাইকে দিতে হবে। তা না হলে আমরা বিদ্যুৎ দিতে পারব না। আপনারা যদি (বিদ্যুৎ) চান, আপনাদেরকে প্রকৃত মূল্য দিতে হবে।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও জ্বালানির খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।”
সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা বিএনপি ও অন্যদের পক্ষে সহজ হবে না। তারা সর্বোত্তমভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এটা কি এত সহজ? বরং, এমন আন্দোলন প্রতিহত করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের ক্ষমতা রয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়া যখনই যেখানে গেছে, আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি।” সবাইকে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রাখতে এবং সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে আহ্বান জানান তিনি।