নিজের ভাগ্য গড়া নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার এবং ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত হওয়া সড়কের উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এসেছি। আমার দেশের অর্থ অন্যকে দিয়ে সেখান থেকে দুর্নীতি করব সেই মানসিকতা আমাদের নেই। সেই শিক্ষা আমার বাবা-মা আমাকে দেয়নি। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াই আমার লক্ষ্য।’
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার প্রতিজ্ঞা করি। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার দেশের মানুষকে। তারা আমার পক্ষে ছিল। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা ইচ্ছা করলে পারি।’
‘জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবা না। কেউ পারেনি, পারবেও না, ইনশাআল্লাহ।’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে সময় জার্মানিতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। সংবিধান লংঘন করে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি।’
‘খুনিদের পুরস্কার করা হয়। যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় ছিল, তা সত্বেও আমি একটি লক্ষ্য নিয়ে এই দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমরা প্রথম সরকার গঠন করি। তখন ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে যাই।