সিরাজদিখান (মুন্মীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজদিখানে সাংবাদিকদের সম্মানী টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত ২৯শে মে উপজেলা বিএনপির একাংশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে। সেই প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকদের সম্মানী টাকা বাবদ ২৫ হাজার টাকা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন খান খোকন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন ও বিএনপি নেতা আজিজুল হক খানের কাছে দেন। পরবর্তীতে আজিজুল হক খান সেই টাকা প্রীন্স নাদিমের কাছে দেয়। ওই সভা শেষ হয়ে গেলে সকল নেতা কর্মীরা চলে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দীন খান খোকনের সাথে আলাপচারিতায় এই টাকা আত্মসাৎের কথা জানাজানি হয়। পরে আজিজুল হক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাংবাদিকদের সম্মানী টাকা আমি প্রিন্স নাদিমের কাছে দিয়ে দিয়েছি।
প্রিন্স নাদিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে সাংবাদিকদের জন্য কোন টাকা দেয়া হয় নাই।
সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন খান খোকন বলেন, আমি সাংবাদিক দের সম্মানী টাকা বাবদ ২৫ হাজার টাকা আমাদের বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন ও আজিজুল হক খানের কাছে দিয়েছি। আমি আজ জানতে পারলাম সাংবাদিকরা কোন সম্মানী ভাতা পায়নি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুল হক খান বলেন, আমার কাছে জসীম উদ্দীন খান ভাই সাংবাদিকদের জন্য যে সম্মানী ভাতা দিয়েছিলো তা আমি প্রিন্স নাদিমের কাছে দিয়ে দিয়েছি। সে বলেছে সাংবাদিকদের আমি ম্যানেজ করবো। পরে সে কি করেছে আমি জানি না। সাংবাদিক দের কত টাকা সম্মানী ভাতা হিসাবে দিয়েছে তা জানতে চাইলে আজিজুল হক খান বলেন, এ বিসয়টি নাদিম সিক্রেট রাখতে বলেছে৷
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স নাদিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ কোন সম্মানী টাকা দেয়নি। আমি নিজেই তো এই প্রতিবাদ সভার পক্ষে ছিলাম না।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন বলেন, ওই প্রোগ্রামের সব হিসাব আজিজুলের কাছে। সম্মানী ভাতার বিষয়টিও সে ও নাদিম দেখেছে। যদি সাংবাদিক ভাইদের সম্মানী টাকা কেউ আত্মসাৎ করে থাকে তাহলে এটি নিন্দনীয় কাজ করেছে। আমি এই বিসয়টি জানতাম না। এখন জানলাম। আমি পুরো ঘটনা টি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।