২২, নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার
     

গণমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভিন্নমত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত রবিবার মন্তব্য করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপরও মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেওয়া এমন মন্তব্যের পর দেশজুড়েই চলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বিষয়টিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষে’ বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পিটার হাসের ঘোষিত ভিসানীতি প্রয়োগের সঙ্গে একমত নন দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট (পররাষ্ট্র দপ্তর)।

দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই এটি কার্যকর হয়েছে।

মিলার বলেছেন, ভিসা নীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি বেশ স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, এর আওতায় পড়বেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা।

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এ ভিসানীতি।

এদিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দলটি ৪৮ ঘণ্টার যে আল্টিমেটাম দিয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে মিলার বলেছেন, এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।

               

সর্বশেষ নিউজ