ক্রাইমভিশন ডেস্ক:
ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩ হাজার ৭২৬ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে সহিংসতায় থাইল্যান্ডের ১৮ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে সোমবার ১২ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল থাইল্যান্ড সরকার।
ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত থাইল্যান্ডের ওই নাগরিকদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জাক্কাাপং সংমানী নিহতের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে বলেছেন, ‘সরকার সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে হাজারও থাই নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কাজ করছে।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নারী মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ সংঘাতে আরও ৯ থাই নাগরিক আহত এবং ১১জন বন্দি হয়েছেন।
ব্যাংককের শ্রম মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষি জমিতে কাজ করেন।
জাক্কাপং বলেন, থাইল্যান্ডের প্রায় তিন হাজার নাগরিক দেশে ফিরে আসার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন।
গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। এরপর নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলও। দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায়।
এরই মধ্যে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে। এক পর্যায়ে সোমবার গাজায় পানি, খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের হুমকি দেয় ইসরায়েল।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।
২০০৭ সালে হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাজার ওপর বিভিন্ন স্তরের অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩ হাজার ৭২৬ জন আহত হয়েছে।