ক্রাইমভিশন ডেস্ক:
আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষকে বলে, ‘তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না।’
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের জামিন শুনানির সময় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই বছর কারাদণ্ড পাওয়া এ দুজনকে এদিন জামিন দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাদের দণ্ড নিয়ে করা আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে দেয়া হয়।
আদিলুর ও এলানের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘আমাদেরও বক্তব্য আছে।’ তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলে, ‘আসামির আইনজীবীদের আগে বলতে দিন। আপনি এখন লাফ দিয়ে উঠছেন কেন?’
তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় আসামিদের দুই বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় আবারও জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।’
তখন আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না।’
এরই এক পর্যায়ে আদালত বলে, ‘দেশটাতো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’।’
উল্লেখ্য এ মন্তব্য করা বিচারক আগামী ১৫ অক্টোবর অবসরে যাবেন। তিনি ২০০৪ সালে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৬ সালে তিনি স্থায়ী হন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১০ বছর আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে হওয়া মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।