মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহান খাঁন ও এক নারীর মোবাইল ফোনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। যেখানে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে বলছেন, ‘আমি মুরগি চুরি করতে গেলেও সঙ্গে আটটি পিস্তল নিয়ে যাই।’ এর উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘আপনি কষ্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হয়েছেন। নেতা হয়ে অনেক মেয়েদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন।’ কল রেকর্ডটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ফোনালাপে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে গালাগাল দিতেও শোনা যায়।
শাহজাহান খাঁন উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হালিম খানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়ে জানা যায়, শাহজাহান ওই নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হলে তাকে ফোন করে এসব কথা বলে হুমকি দেন।
মুরগি চুরি করতে গেলেও সঙ্গে ৮টি পিস্তল নিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা!
মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
এ বিষয়ে স্থানীয় আবির নামে এক যুবক বলেন, ‘ফোনকল রেকর্ডটি শুনেছি। শাহজাহান মূলত প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করে। ওই এলাকায় থেকে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করাটা অস্বাভাবিক বলেও মনে হয় না। পরকীয়ার বিষয়টি মিথ্যা না। তবে যাচাই-বাচাই করলে আরও তথ্য বের হতে পারে।’
ফোনকলের অপর প্রান্তে থাকা ওই নারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছা পোষণ করে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে কীভাবে হয়েছে সেটা জানি না। শাহজাহান মূলত একজন প্রতারক, সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে তার পদ ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে অনেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে ভালোবাসার কথা বলে আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকাসহ অনেক উপহার সামগ্রী নিয়েছে। এখন সব অস্বীকার করে। বর্তমানে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার দুটি সন্তান আছে। আমি সমাজের ভয়ে চুপ করে আছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি শাহজাহানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শিবচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাজিব ঢালী কালবেলাকে বলেন, ‘এ রকম ঘটনা তো আমরা শুনিনি। যদি আমাদের কাছে এ রকম কোনো অভিযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান অনিক বলেন, ‘এ ধরনের অপকর্ম কোনো ছাত্রলীগ নেতা করতে পারে না। যদি এ রকম কোনো ঘটনার সঙ্গে শাহজাহান জড়িত হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের বিষয়টি অবগত করব। তারা বিষয়টি না দেখলে আমরা জেলা শাখা থেকে বিষয়টি তদন্ত করব।’- কালবেলা