আইডিএফ-এর উচ্চপর্যায়ের মুখপাত্র এবার ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের হত্যা করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।
তিনি বলেন, আমরা হামাসের বড় নেতাদের হত্যার চেষ্টা থেকে বিরত হবো না। হামাসের দুই নেতাকে হত্যার খবর দিতে গিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে এখনো হামাস নেতাদের খুঁজছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, সেদেরত, সাদে ও জিকিমে আমরা ৫ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা ও হত্যা করা। আমরা সীমান্তে কড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। তারা (হামাস) বেশ কয়েকবার বেড়া ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলেও আমরা তা রুখে দিয়েছি।
কিব্বুজে হামাস যোদ্ধাদের ১০৩ মরদেহ উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য কিব্বুজে একশোরও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে হামাস।
এদিকে, ইসরায়েল ফিলিস্তিন চলমান সংকটের রেশ ধরে ক্রমেই যুদ্ধের রেশ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের দেশগুলোতেও।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলিরা সিরিয়ার দুটি মূল এয়ারপোর্টে হামলা চালিয়েছে। দামেস্ক এবং আলেপ্পোর বিমানবন্দরে এ হামলা বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় অচল হয়ে গেছে বিমানবন্দর দুইটি। টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি গণমাধ্যমটি।
স্থানীয় আরেক গণমাধ্যম শাম এফ এম জানায়, হামলার জবাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী সিরিয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসের পরিমাণ আরও বেড়েছে। সিরিয়ায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
গাজা বর্ডার দিয়ে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর ছয়দিনের মাথায় সিরিয়ার বিমানবন্দরে এ হামলা চালনা করল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল সফরের পর এ হামলা করা হয়। এ ছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির সঙ্গে বাশার আল আসাদের ফোনালাপে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানের কয়েক ঘণ্টার ভেতর এ হামলা করে ইসরায়েল।