১২, ডিসেম্বর, ২০২৪, বৃহস্পতিবার
     

মুন্সিগঞ্জে আইনজীবির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারে সংবাদ সম্মেলন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মুন্সিগঞ্জে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোটি টাকা সম্পত্তি বেদখল ও অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি সনাতন ধর্মাবম্বী পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সফিউদ্দিন মিলনায়তনে এসংবাদ সম্মেলন ভোক্তভোগী পরিবারটি। তাদের অভিযোগ ২লাখ ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে মন্সিগঞ্জ শহরের প্রধানবাজারে সুনামধন্য “মালা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার” নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে সালাউদ্দিন খান স্বপন নামের একজন আইনজীবি।
ভোক্তভোগী পরিবারে সদস্যর জানান, বেদখল হওয়া প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় তপন ঘোষদের ৫ভাইয়ের পারিবারিক সম্পত্তি ও পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। এরমধ্যে তাদের একভাই স্বপন ঘোষ দারিদ্রতার কারনে প্রতিবেশী আইনজীবি সালাউদ্দিন খানের কাছ থেকে ২লাখ টাকা ঋণ নেয়। ঋনের টাকা নেওয়ার বিষয়টি সাক্ষ্য লিখে রাখার কথা বলে সালাউদ্দিন স্বপনের ঘোষের কাছ থেকে সাদা কাগজে হাতের টিপশই রাখে। কয়েকমাস পরে ঋণের টাকা ফেরত দিতে গেলে সালাউদ্দিন খান জানায় ঋণ নয় তাদের পারিবারিক দোকান জমি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছে সে। অথচ ওই জমি স্বপন ঘোষের একার নয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হলে কয়েকবছর ধরে আদালতে সে মামলা চলমান। আদালত বিষয়টিতে স্থিতাবস্থা দিলেও সম্প্রতি নিজের নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বেদখল করে রেখেছে সালাউদ্দিন খান গং। এতে একমাত্র উপার্জনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় অসহায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
তারা আরো জানায়, বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে প্রতিবাদ করলে ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভয়ভীতির কারনে পরিবারের সদস্য স্কুল ছাত্রী অথৈ ঘোষ বর্তমানে স্কুলে যেতে পারছে না। মূলত ঋণ সহযোগিতার নাম করে ২লাখ টাকা দিয়ে কোটি টাকার মূল্যে জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে আইনজীবি সালাউদ্দিন খান। এঘটনায় বেদখল হওয়া জমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানা তারা।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সালাউদ্দিন খান স্বপন জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান , এই অবস্থায় তাদের সংবাদ সম্মেলন করা ঠিক হয়নি । ওই জমি এখন আমার দখলে রয়েছে, আমি বেদখল করিনি, আমার জমিই। আদালত যা রায় দিবে তাই হবে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে তালবদ্ধ রয়েছে। ভয়ভীতিতে ছাত্রী স্কুলে যেতে না পারা বিষয়টি আমার জানা নেই।

               

সর্বশেষ নিউজ