মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, দৌলতপুর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম পারভেজ নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। তার মৃত্যুতে মানিকগঞ্জে বইছে শোকের ছায়া।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আয়ুব আলী মন্ডল।
নিহত কনস্টেবলের বাড়ি উপজেলার চরকাটারী গ্রামে। সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। নদী ভাঙ্গনের কারণে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দাপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর এলাকায় প্রায় দুই বছর যাবৎ বসবাস করছেন। পারিবারিক জীবনে পারভেজ বাবা মা ভাই বোন স্ত্রীসহ এক মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন।
চরকাটারী ইউনিয়নের স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার গফুর মন্ডল বলেন, ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় আমার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার ভাইয়ের ছেলে পারভেজ মারা গেছে এমন খবর শুনার পরই অনেক কষ্ট পেয়েছি। ছেলেটি সম্পর্কে প্রতিবেশী ভাতিজা হয়, স্বভাব চরিত্রের দিক থেকে পিতার মতোই হয়ে ছিল, যেমন স্পষ্টবাদী তেমনি সাহসী। খবরটি শুনার পর থেকেই পুরো গ্রামে বইছে শোকের ছায়া।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আয়ুব আলী মন্ডল বলেন, এক সময় নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজদের বসবাস ছিলো আমার ইউনিয়নে তবে তারা বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করছে। ছেলেটির মৃত্যুর সংবাদটি শোনার পর থেকেই খারাপ লাগছে।
নিহত পারভেজের বড় বোন সেফালি বেগমের ছেলে সবুজ বলেন, দিনের বেলায় মামা মারা গেছে এমন সংবাদ শুনেই ঢাকা এসেছি, এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। কখন মামার মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হতান্তর করা হবে তেমন কিছুই আমাদের বলেনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, ঢাকায় নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজ দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়নের বাড়ি হলেও অনেকদিন যাবৎ টাংগাইল জেলার নাগরপুর উপজেলা ফযেজপুর গ্রামে থাকেছেন।