আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় জাদু দেখানো পিটার হাসও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভা শেষে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ভালো প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের উদ্ভাবন করেছেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। যার সোনালি ফলস আমরা ঘরে তুলতে পেরেছি। ৪২.৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। দু-একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।
বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন। যিনি কত জাদু দেখিয়েছেন, সেই পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। এখন অপেক্ষায় কখন আসবে ভিসানীতি, অপেক্ষা করুন কেয়ামত পর্যন্ত।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচন হতে দেবে না, সে আস্ফালন এখন কোথায় গেল? সারা দুনিয়ার পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নামিদামি মিডিয়া অনেকে উপস্থিত ছিল। কিন্তু নির্বাচনের বিরুদ্ধে বলার মতো কিছুই ছিল না। সুন্দর নির্বাচনের প্রশংসা সারা দুনিয়ায় শুনতে পাচ্ছি। কেবল একটি মহল নানা কথা বলছে। তারা এখন বলছে সংসদ অবৈধ। বৈধতা কীভাবে পাবে? জিয়ার হ্যাঁ/না, ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন নাকি মাগুরা মার্কা নির্বাচন দিয়ে সংসদ বৈধতা পাবে? শপথের মধ্য দিয়ে আগের সংসদ বহাল থাকার সুযোগ নেই। আগের সংসদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এবার নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীন ছিল। সরকারি দলের প্রার্থিতা বাতিল, শোকজ ও ভর্ৎসনাও ছিল। এমন নজির আর কী দেখাতে পারবে?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দণ্ডিত তারেককে নেতা করার জন্য গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিল করেছে। যাদের নিজের দলেই গণতন্ত্র নাই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে?