গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে পুলিশি টহল না থাকার সুযোগে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ডাকাতি করে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে ২ডাকাত। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে তারা।
গেল শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন আকিজ ইস্পাত কারখানার সামনে ঘটেছে।
আটককৃতরা হলো,গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে রানা আহমেদ (২৫) ও শাহিন (৩১)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডাকাতির শিকার মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দুই নারীসহ ছয় জন যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা থেকে ঢাকাতে যাচ্ছিলাম আমরা। পথিমধ্যে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আকিজ ইস্পাত কারখানার সামনে আসলে ৭/৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ ১৬ হাজার টাকা,৩টি মোবাইলে সেট ও কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে তারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমার গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। গাড়ি চালু করতে না পারায় দীর্ঘ সময় সেটি মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকায় ঢাকাগামী লেনে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা এসে গাড়িতে মহাসড়কের মাঝখান থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ডাকাতি করে পিকআপ নিয়ে পালাতে ডাকাতদল মহাসড়ক থেকে গ্রামের ভেতরের রাস্তায় চলে আসে । তারা ভবেরচর ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামের রাস্তায় আসলে পিকআপের গতিবিধি দেখে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সন্দেহ হলে তারা পিকআপ ভ্যানটি থামানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে পিকআপ ভ্যান ফেলে পালানোর চেষ্টা করে ৭ ডাকাত। ৫ জন পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করে জনতা। পরে পিকআপ ভ্যান তল্লাশি করে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে তারা। আটক ডাকাত রানা আহমেদের কাছ থেকে দুটি পত্রিকা এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত ডাকাত মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি ঢাকাতে ছিলাম। বালুয়াকান্দি গ্রামের দেলোয়ার ও
মনাইরকান্দি হোসেন এই ঘটনার মূল হোতা। তারা মহাসড়কে পুলিশি টহল না থাকার সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা সাজায়।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা গতকাল মহাসড়কে ডাকাতের চেষ্টা করি। ডাকাতি করে পালানোর সময় জনতা আমাদের ২জনকে আটক করে’।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।